স্বদেশ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। মাত্র এক যুগ আগেও নিতান্ত শখের বশে বাড়ির আশে পাশে লটকোনের গাছ লাগাতো পঞ্চগড়ের চাষিরা। নিজেদের পরিবারের সদস্যরাই এই ফলের সুস্বাদু স্বাদ আস্বাদন করতো। কিন্তু এখন সেসব শুধুই ইতিহাস। লটকোন চাষ এখন এই জেলার চাষিদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় লটকোন বাজারজাত করছেন চাষিরা। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। জেলার সদর এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার চাষিরা বাণিজ্যিক ভাবে লটকোনের বাগান করেছেন। লটকোন উৎপাদনে তারা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব বাগানের গাছগুলোতে গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত লটকোন ধরেছে।
চাষিরা জানায়, সুস্বাদু এই ফল চাষে খুব বেশি খরচ নেই। গোবর সার ছাড়া অন্যকোন রাসায়নিক সার প্রয়োজন পড়ে না। মাটির উর্বরতাই লটকোন চাষের মূল উপাদান। এই জেলার মাটি লটকোন চাষের জন্য উপযোগী।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ছিলাহাটি ইউনিয়নের তিস্তাপাড়া গ্রামের লটকোন চাষি গকুল চন্দ্র রায় ০৭ বিঘা জমিতে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ লটকোন বাগান করেছেন। এই বাগানে ৫৫ থেকে ৬০টি লটকোন গাছ রয়েছে। বিগত কয়েকবছর ধরে তিনি লটকোন বিক্রি করে আসছেন। তিনি জানান, এ বছর ৫৫টি লটকোন গাছের ৩ লাখ টাকায় লটকোনের মধ্যস্বত্বভোগী ফল ব্যাবাসয়ীদের নিকট বিক্রি করেছেন। এই ব্যবসায়ীরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সব লটকোন বাজারজাত করেন।
চাষি গকুল চন্দ্রের ছেলে অতুল চন্দ্র জানান, বাবার লটকোন চাষ দেখে ০১ বিঘা জমিতে ২০ টি লটকোন গাছ লাগিয়েছি। এবছর ২০টি গাছে ০১ লাখ টাকার লটকোন বিক্রি করেছি। সদর উপজেলার হাড়িভাষা এলাকার লটকোন চাষি মানিক খাঁ জানান, লটকোন চাষে অনেক লাভ, পরিশ্রম নেই বললেই চলে।